সিবিএন ডেস্ক:
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে আয়োজন হচ্ছে ‘বঙ্গবন্ধু ৯ম বাংলাদেশ গেমস’। গেমসটি ১ এপ্রিল শুরু হয়ে চলবে ১১ এপ্রিল পর্যন্ত। সাতটি জেলার ২৯টি ভেন্যুতে ৩১ ডিসিপ্লিনের পাঁচ হাজার ৩০০ ক্রীড়াবিদ ১২৭১টি পদকের জন্য লড়বেন। এর মধ্যে স্বর্ণ পদক রয়েছে ৩৭৮টি।

বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন (বিওএ) আজ রোববার আনুষ্ঠানিকভাবে গেমস শুরুর ঘোষণা দিয়েছে। গেমসটি গত বছর এপ্রিলে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু করোনাভাইরাসের কারণে সেই সময় গেমস আয়োজন করা সম্ভব হয়নি।

আগামী ১ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্চুয়ালি গেমসের উদ্বোধন করবেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে থাকছে বাংলাদেশের খেলাধুলা নিয়ে নানান দিক। তবে তার আগেই নারী ক্রিকেট দলের খেলা সিলেটে শেষ হয়েছে। পুরুষ ফুটবল দলের খেলা শুরু হয়েছে বৃহস্পতিবার।

বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ গেমসের মশাল বঙ্গবন্ধুর জন্মস্থান টুঙ্গীপাড়ায় তাঁর সমাধিস্থলে প্রজ্বলন করবেন বিওএর সভাপতি ও সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ। এরপর বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে আনুষ্ঠানিকভাবে মশাল প্রজ্বলন করবেন গলফার সিদ্দিকুর রহমান ও সাঁতারু মাহফুজা খাতুন শিলা। ক্রীড়াবিদদের শপথ পাঠ করবেন দেশসেরা আর্চার রোমান সানা।

গেমস আয়োজনে বাজেট ধরা হয়েছিল ৩৮ কোটি টাকা। শেষ পর্যন্ত তা কমিয়ে ২০ কোটি টাকা করা হয়েছে। সরকার থেকে ১৫ কোটি টাকা পাচ্ছে বিওএ।

গেমস সফলভাবে আয়োজন হবে বলে আশাবাদী বিওএর মহাসচিব সৈয়দ শাহেদ রেজা। আজ এক সংবাদ তিনি বলেন, ‘আমাদের সব ধরনের আয়োজন শেষ। দেশব্যাপি বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ গেমস হবে। আশা করছি সফলভাবেই সবকিছু হবে।‘

বিওএ মহাসচিব আরও বলেন, ‘আমরা সব ক্রীড়াবিদদের করোনা পরীক্ষা করিয়েছি। যাদের নেগেটিভ হবে তারাই খেলবেন। এছাড়া অন্য সব ধরনের সতর্কতা নেওয়া হয়েছে। যেন গেমস ঠিকভাবে হতে পারে।’

বিওএর অডিটরিয়ামে সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন সহ-সভাপতি শেখ বশির আহমেদ মামুন, উপ-মহাসচিব আসাদুজ্জামান কোহিনুর, উপ-মহাসচিব আশিকুর রহমান মিকু ও কোষাধ্যক্ষ কাজী রাজিব উদ্দিন আহমেদ চপল।